স্মরণকালের সর্বোচ্চ লোকসমাগমে শেষ হলো এবারের লালন তিরোধান দিবস

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কুষ্টিয়ার কুমারখালির বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ’র আখড়াবাড়িতে স্মরণোৎসব শেষ হলো।দিনভর অঝর ধারার কার্তিকের বৃষ্টিতে ভিজে লালন ভক্তরা উৎসব করেন এবার । বৃহস্পতিবার উপজেলার ছেউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে লালন শাহ’র ১৩৪তম তিরোধান উপলক্ষে স্মরণোৎসব শুরু হয়। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে উৎসব শেষ হলে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরতে শুরু করেন বাউল ভক্ত-অনুরাগীরা। তবে, শনিবারও চলবে তিন দিনব্যাপী এই বাউলমেলা। প্রবীণ সাধক নহির শাহ বলেন, ‘বিভিন্ন মতের মানুষ একত্র হয়ে একমতে চলার নাম সাধুসঙ্গ। সেখানে সাধু-গুরুরা একই সুর, একই তাল, একই ভাবে সাধুসঙ্গে অংশ নেন।’ ১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর দেহত্যাগ করেন ফকির লালন শাহ। এরপর থেকেই দিনটি তিরোধান দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। তিরোধান দিবস তথা পহেলা কার্তিক অধিবাস সেবার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অষ্টপ্রহর সাধুসঙ্গ। পরদিন সকালে বাল্যসেবা ও বিকালে পূর্ণসেবার মধ্য দিয়ে সাধুসঙ্গ শেষ হয়। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণোৎসব উদ্বোধন করেন তত্ত¡াবধায়ক সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

Post a Comment

Previous Post Next Post