শোমসপুর আবু তালেব ডিগ্রী কলেজের এডহক কমিটির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা শোমসপুর আবু তালেব ডিগ্রী কলেজের এডহক কমিটির কার্যক্রমের ওপর চার মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। বিএনপি নেতা মারুফ মোর্শেদ সুনামের দায়ের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।
গতকাল, ১১ মার্চ, বিচারপতি ফাতেমা নাজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত মামলাটির (রিট নম্বর ৪১৯৪/২০২৫) শুনানি শেষে কলেজের বর্তমান সভাপতি আনিসুজ্জামান স্বপনের নেতৃত্বাধীন কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। খোজ নিয়ে যানা যায় ,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিএনপি নেতা মারুফ মোর্শেদ সুনামকে সভাপতি হিসেবে মনোনীত করেছিল। কিন্তু এক মাসের মধ্যেই তাকে সরিয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আনিসুজ্জামান স্বপনকে সভাপতি করা হয়। এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট করেন অপসারিত সভাপতি সুনাম মোর্শেদ। মারুফ মোর্শেদ সুনাম দাবি করেছেন, তার বাবা একসময় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু দলীয় কোন্দলের কারণে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুজ্জামান তার বিপক্ষে অবস্থান নেন এবং কলেজের সভাপতির পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেন। আদালতের এই রায়ের পর তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। কলেজের অধ্যক্ষ রায়হানুল হক জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারের আমলে অনুমোদিত প্রথম কমিটির সভাপতি আদালতের মাধ্যমে স্থগিতাদেশ এনেছেন। আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী নির্দেশনা মেনে চলবো। এ বিষয়ে কলেজের বর্তমান (স্থগিত) সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুজ্জামান স্বপনের সঙ্গে দি দ্রোহ পত্রিকার সম্পাদক মুনসী লিটন মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি এখনো হাইকোর্টের আদেশ দেখিনি। না দেখে মন্তব্য করতে পারছি না। আদালতের দুটি কপি থাকে—একটি মূল আদেশ, আরেকটি অ্যাডভোকেট কপি। কোনটি এসেছে তা না জেনে কিছু বলতে পারবো না। এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে আছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টরা। আদালতের স্থগিতাদেশ কার্যকর হলে মারুফ মোর্শেদ সুনাম পুনরায় সভাপতির দায়িত্ব ফিরে পাবেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post